bangladeshi_eatery_korai_kitchen

এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ফারহানা বলেন, “আমরা অবিশ্বাস্যভাবে আনন্দিত। আমরা জানি নিউ ইয়র্ক টাইমসের তিন তারকা পাওয়া কতটা বিরল। আর একটি বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁর এই ছোট্ট তালিকায় যোগ দেওয়াটা আমাদের সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশেষ গর্বের বিষয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি সিটির বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ‘কড়াই কিচেন’ এক অবিশ্বাস্য সম্মান অর্জন করেছে। তারা আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ তিন-তারকা রিভিউ পেয়েছে। এই সম্মান কতটা বিরল, তা বোঝা যায় একটি তথ্য থেকে—গত তিন দশকে মাত্র ২৯টি রেস্তোরাঁ এই গৌরব অর্জন করতে পেরেছে।

এই অসাধারণ রেস্তোরাঁটি চালান এক মা-মেয়ের জুটি। এর মূল কারিগর হলেন জেমস বেয়ার্ড পুরস্কারের জন্য মনোনীত শেফ নূর-ই গুলশান রহমান, এবং তাকে সঙ্গ দেন তার মেয়ে নূর-ই ফারহানা রহমান। নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের খাঁটি বাংলাদেশী খাবারের স্বাদ, আন্তরিক ঘরোয়া পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক আবেদনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ফারহানা বলেন, “আমরা অবিশ্বাস্যভাবে আনন্দিত। আমরা জানি নিউ ইয়র্ক টাইমসের তিন তারকা পাওয়া কতটা বিরল। আর একটি বাংলাদেশি খাবারের রেস্তোরাঁর এই ছোট্ট তালিকায় যোগ দেওয়াটা আমাদের সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশেষ গর্বের বিষয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি জার্সি সিটির জন্যও একটি অসাধারণ স্বীকৃতি। এই বৈচিত্র্যময় শহরটিকে নিজের বাড়ি বলতে পেরে আমরা গর্বিত।”

২০১৮ সালে কড়াই কিচেনের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি বুফে রেস্তোরাঁ হিসেবে, যেখানে পরিবেশন করা হতো একেবারে খাঁটি ঘরোয়া বাংলাদেশি খাবার। কোভিড মহামারীর সময়, তারা শুধু টেক-আউট ও ডেলিভারি চালু রাখে। অবশেষে ২০২৪ সালে তারা আবার সীমিত আকারে ডাইন-ইন সেবা চালু করে, যার নাম ‘আম্মার দাওয়াত’। এটি একটি আট-কোর্সের বিশেষ ভোজ, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট মেন্যু থাকে না এবং যা শুধুমাত্র শুক্র ও শনিবার রাতে পাওয়া যায়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিভিউতে রেস্তোরাঁটির আন্তরিক পরিবেশ এবং হাত দিয়ে খাওয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে।

এর আগে শেফ গুলশান রহমান ২০২৪ সালে আমেরিকার অন্যতম সেরা শেফদের সম্মাননা জেমস বেয়ার্ড অ্যাওয়ার্ডের সেমিফাইনালিস্ট হয়েছিলেন। এছাড়াও, কড়াই কিচেন নিউ জার্সির স্থানীয় ডাইনিং গাইডে ১০ নম্বরে স্থান পেয়েছে। রেস্তোরাঁর পাশাপাশি এই সফল মা-মেয়ের জুটি জার্সি সিটিতে ‘হিলশা গ্রোসারি’ নামে একটি বাংলাদেশি মুদি দোকানও পরিচালনা করেন।