‘কখনও রনের ছায়া থেকে বের হতে পারব না’: রুপার্ট গ্রিন্ট
‘কখনও রনের ছায়া থেকে বের হতে পারব না’: রুপার্ট গ্রিন্ট
শিশুকালেই রূপার্ট গ্রিন্ট এবং তার সহঅভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ ও এমা ওয়াটসনকে বদলে দিয়েছিল জে. কে. রাওলিং-এর বই থেকে নির্মিত হ্যারি পটার সিনেমা। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বড়পর্দায় তাদের অভিনয় তাদের জীবনে বিশেষ পরিবর্তন এনেছিল।
শেষ হ্যারি পটার সিনেমা মুক্তির প্রায় ১৪ বছর পরও রুপার্ট গ্রিন্ট মনে করেন, তিনি কখনো রন উইজলির ছায়া থেকে বের হতে পারবেন না। খবর বিবিসি’র।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটা কোনো সমস্যা নয়। আমি ভালোই মনে করি। আমি তাদের সাথে দেখা করতে ভালোবাসি, যারা মনে করে এটি তাদের শৈশবের অংশ ছিল।’
৩৭ বছর বয়সী গ্রিন্ট সিরিজের আটটি সিনেমাতেই রনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি জানান, আসন্ন টিভি সিরিজে রনের চরিত্রে অভিনয় করা শিশু অভিনেতাকে তিনি একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে আবার একই চক্র ঘটছে, এটা বেশ অদ্ভুত। আমি সত্যিই কৌতূহল বোধ করছি এটি কেমন হবে।’
শিশুকালেই রূপার্ট গ্রিন্ট এবং তার সহঅভিনেতা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ ও এমা ওয়াটসনকে বদলে দিয়েছিল জে. কে. রাওলিং-এর বই থেকে নির্মিত হ্যারি পটার সিনেমা। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বড়পর্দায় তাদের অভিনয় তাদের জীবনে বিশেষ পরিবর্তন এনেছিল।
যখন তাকে রনের চরিত্রে নেওয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল ১১ বছর। তিনি এখন এই অভিজ্ঞতাকে ‘চমৎকার’ বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি খুব দ্রুত আমার পুরো জীবন বদলে দিয়েছে। আমি বইগুলোর বড় ভক্ত ছিলাম, তাই আমার জন্য এটি বইয়ের মধ্যেই প্রবেশ করার মতো ছিল, এবং সেটাই ছিল অনেক বিশেষ কিছু।’
ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ ও এমা ওয়াটসনের তুলনায়, গ্রিন্টর জন্য রনের চরিত্র থেকে বের হওয়া সহজ হয়নি।
‘আপনার কি বিরক্ত লাগে, এত বছর আগে করা চরিত্রটি এখনও আপনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে?’—এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রিন্ট বলেন, ‘না, একদম নয়। আমি এটি ভালোবাসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের অনেক মানুষের জন্য এটি গভীর অর্থ বহন করে, এবং নতুন প্রজন্মের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটা দারুণ। এটি আমাকে গর্ববধ করায়। এটি সত্যিই একটি বিশাল অভিজ্ঞতা ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমি কখনও পুরোপুরি রনের ছায়া থেকে বের হতে পারব, কিন্তু আমি এতে খুশি।’