জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’: গোলাম আযম ও নিজামীর ছবিতে ময়লা নিক্ষেপ
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছে, তাদের জন্য এটি একটি ঘৃণাস্তম্ভ। তাদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসেবেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’: গোলাম আযম ও নিজামীর ছবিতে ময়লা নিক্ষেপ
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছে, তাদের জন্য এটি একটি ঘৃণাস্তম্ভ। তাদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসেবেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি প্রদর্শন করে তাতে ময়লা নিক্ষেপ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো কলাভবনের সামনে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের একদল শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই প্রদর্শনীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো কলাভবনের সামনে একটি খুঁটিতে মোট ১০টি ছবি ঝোলানো রয়েছে। ছবিগুলোর ঠিক নিচেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। ঠিক এর পাশেই রাখা হয়েছে একটি ডাস্টবিন।
আয়োজকেরা জানান, প্রদর্শিত ছবিগুলো গোলাম আযম, কাদের মোল্লা ও মতিউর রহমান নিজামীর। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় কয়েকটি ছবিতে তাদের দাড়ি ফেলে দেওয়া হয়েছে।
আয়োজক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছিলেন সেই রাজাকার, আলবদরের উত্তরসূরিরা তাদের হিরো বানানোর চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ মহান বিজয়ের এই দিনে রাজাকারের ছবি প্রদর্শনী করে সেখানে ময়লা-আবর্জনা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী এবং আল-বেরুনী হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক মুন্তাসির বিল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা চিরকালই আবর্জনার মতো। তাদের অবস্থান আবর্জনাতেই মানানসই। প্রতীকী অর্থে তাদের ছবি প্রদর্শন করে তাতে ময়লা নিক্ষেপ করা হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ আমরা অর্জন করেছি, সেখানে রাজাকারদের কোনো স্থান নেই।’
একই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছে, তাদের জন্য এটি একটি ঘৃণাস্তম্ভ। তাদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশ হিসেবেই এমন আয়োজন করা হয়েছে।’