দেশে ৯৮.৯ শতাংশ পরিবার এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে: বিবিএস
জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিধি বাড়লেও কম্পিউটার ব্যবহারের হার এখনও এক অঙ্কেই সীমাবদ্ধ।
দেশে ৯৮.৯ শতাংশ পরিবার এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে: বিবিএস
জরিপে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিধি বাড়লেও কম্পিউটার ব্যবহারের হার এখনও এক অঙ্কেই সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় (পরিবার) মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হয়েছে।
বিবিএসের তথ্য সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এতে খানাভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ সুবিধায় বাংলাদেশে ধারাবাহিক অগ্রগতি হলেও টেলিভিশন ব্যবহারে ধীরগতির পতন দেখা গেছে। গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ ২০২৫–২৬’ (প্রথম প্রান্তিক: জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিধি বাড়লেও কম্পিউটার ব্যবহারের হার এখনও এক অঙ্কেই সীমাবদ্ধ।
একই সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ২০২৩ সালের ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ২০২৪–২৫ সালে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়। তবে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য কমে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশে নেমেছে।
অন্যদিকে, টেলিভিশন থাকা খানার হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০২৩ সালে যেখানে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ খানায় টিভি ছিল, ২০২৪–২৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার আরও নেমে এসেছে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে।
ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় উল্লম্ফন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৩ সালে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ খানায় ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও ২০২৪–২৫ সালে তা বেড়ে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছায়। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশে, যা ডিজিটাল সংযোগে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তবে কম্পিউটার ব্যবহারে অগ্রগতি খুবই ধীর। ২০২৩ সালে যেখানে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ খানায় কম্পিউটার ছিল, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ সুবিধা প্রায় সর্বজনীন পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে ৯৯ দশমিক ১ শতাংশ খানায় বিদ্যুৎ থাকলেও ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এই হার ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশে রয়েছে। সামান্য ওঠানামা হলেও উচ্চমাত্রার কভারেজ বজায় আছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের দ্রুত বিস্তার মানুষের গণমাধ্যম ভোগের ধরন বদলে দিচ্ছে, যার প্রভাব টেলিভিশন ব্যবহারের হ্রাসে প্রতিফলিত হচ্ছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতি ও ই-গভর্ন্যান্স এগিয়ে নিতে কম্পিউটার ও ব্রডব্যান্ডভিত্তিক সংযোগ বাড়ানোর দিকে নীতিগতভাবে আরও মনোযোগ দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।