16 NOV WEB
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাকে হেলপার তাকে লাঞ্ছিত করেন।

বরিশালে বাসে হাফ ভাড়া নিয়ে বাসশ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের অন্তত ৬০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

বাসশ্রমিকদের দাবি- শিক্ষার্থীরা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করেছে। 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশালের কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাকে হেলপার তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

একপর্যায়ে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাস ভাঙচুর, সড়কের ওপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, শনিবার মুলাদী থেকে বরিশাল নগরীতে আসার পথে এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে আমরা নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে শ্রমিকদের বিচার দাবি জানাই। এ সময় আমাদের ওপর বাসশ্রমিকেরা হামলা চালায়। এতে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

ছবি: সংগৃহীত

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রমিকেরা। পরিবহন শ্রমিক নেতা আরজু মৃধা বলেন, কলেজ বন্ধের দিনও হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে বরিশাল-মুলাদী রুটের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস শ্রমিকের বিরোধ হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিএম কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী এসে নথুল্লাবাদ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর করে। সেখানে থাকা ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিককে মারধর করে গুরুতর আহত করেন তারা।

জানতে চাইলে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি মামুন উল ইসলাম বলেন, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।