SUICIDE
Photo: Courtesy

প্রতি সপ্তাহে চ্যাটজিপিটিকে ১০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী ‘আত্মহত্যার পরিকল্পনা’ বিষয়ক প্রশ্ন করেন।

গত সোমবার ওপেনএআই এক ব্লগপোস্টে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে গার্ডিয়ানের প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য তুলে ধরা হয়।

ওপেনএআই জানায়, এর পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক সংকট, সাইকোসিস সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন আরও প্রায় ৫.৬ লাখ ব্যবহারকারী (দশমিক শূন্য সাত শতাংশ)। তবে কোম্পানি সতর্ক করেছে, এটি কেবল প্রাথমিক বিশ্লেষণ এবং এই ধরনের কথোপকথন শনাক্ত করা কঠিন।

সম্প্রতি এক কিশোরের পরিবার ‘আত্মহত্যায় সহায়তার’ অভিযোগ দায়ের করায় বাড়তি নজরদারির মুখে পড়েছে ওপেনএআই। পরিবারের দাবি, ওই কিশোর চ্যাটজিপিটির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ চ্যাট করত।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) গত মাসে ওপেনএআইসহ একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানির ওপর তদন্ত শুরু করেছে। এ তদন্তের উদ্দেশ্য শিশুকিশোরদের ওপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মানসিক প্রভাব বোঝা।

ওপেনএআই জানিয়েছে, নতুন জিপিটি-৫ সংস্করণে আত্মহত্যা সংক্রান্ত কথোপকথনের নিরাপত্তা ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে। ১৭০ জন চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানী নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল ফিজিশিয়ান নেটওয়ার্ক’ মডেলটির মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের কাঠামো তৈরি করেছে।

তবে কোম্পানিটি সতর্ক করে বলেছে, চ্যাটজিপিটিকে সরাসরি এই মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের জন্য দায়ী করা যায় না। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের কথোপকথনের পরিমাণও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।