নিম্নমানের এআই কনটেন্ট: মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বর্ষসেরা শব্দ ‘স্লপ’
অভিধানটিতে ‘স্লপ’-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটি এমন এক ‘নিম্নমানের ডিজিটাল কনটেন্ট, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা হয়।’ মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বিবৃতিতে উদাহরণ হিসেবে অদ্ভুত সব ভিডিও, কথা বলা বিড়াল এবং এআই দিয়ে লেখা বইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নিম্নমানের এআই কনটেন্ট: মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বর্ষসেরা শব্দ ‘স্লপ’
অভিধানটিতে ‘স্লপ’-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটি এমন এক ‘নিম্নমানের ডিজিটাল কনটেন্ট, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা হয়।’ মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বিবৃতিতে উদাহরণ হিসেবে অদ্ভুত সব ভিডিও, কথা বলা বিড়াল এবং এআই দিয়ে লেখা বইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নিম্নমানের ডিজিটাল কনটেন্ট বা আধেয় বোঝাতে ‘স্লপ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান ২০২৫ সালের জন্য এটিকে ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বর্ষসেরা শব্দ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অভিধানটিতে ‘স্লপ’-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটি এমন এক ‘নিম্নমানের ডিজিটাল কনটেন্ট, যা সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা হয়।’ মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বিবৃতিতে উদাহরণ হিসেবে অদ্ভুত সব ভিডিও, কথা বলা বিড়াল এবং এআই দিয়ে লেখা বইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বর্ষসেরা শব্দ বেছে নেওয়ার তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো মেরিয়াম-ওয়েবস্টার। এর আগে কলিন্স ডিকশনারি ‘ভাইব কোডিং’, কেমব্রিজ ‘প্যারাসোশ্যাল’ এবং অক্সফোর্ড ‘রেজ বেইট’-কে সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে। এসব শব্দ আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে বর্তমান সময়ের উদ্বেগের বিষয়টিই তুলে ধরে।
অনলাইন মেরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান অনুসারে, ১৭০০-এর দশকে ‘স্লপ’ শব্দটি প্রথমে ‘নরম কাদা’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এরপর ১৮০০-এর দশকে এর অর্থ দাঁড়ায় ‘উচ্ছিষ্ট খাবার’। পরবর্তীতে এটি ‘আবর্জনা’ বা ‘মূল্যহীন পণ্য’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
মেরিয়াম-ওয়েবস্টারের বিবৃতিতে স্বীকার করা হয়েছে যে, বর্তমান সময়ে ‘স্লপ’ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মানুষ এটাকে বিরক্তিকর মনে করে, আবার মানুষই এটা লুফে নেয়।’ শব্দটির ব্যবহারের পেছনে যে এক ধরনের উপহাস রয়েছে, তা-ও বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, ‘শব্দটি এআইকে একটি বার্তা দেয়: মানুষের সৃজনশীলতার জায়গা নেওয়ার ক্ষেত্রে তোমাকে খুব একটা অতি-বুদ্ধিমান (সুপার ইন্টেলিজেন্ট) মনে হয় না।’
বর্ষসেরা শব্দের তালিকায় অন্য যেসব শব্দ বিবেচনায় ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ‘জেরিম্যান্ডার’। কোনো দল বা গোষ্ঠীকে অন্যায্য সুবিধা দিতে নির্বাচনী এলাকা বা রাজনৈতিক সীমানা ভাগ করাকে ‘জেরিম্যান্ডার’ বলা হয়। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলের রাজনীতিকরাই নিজেদের সুবিধার জন্য সীমানা পুনর্নির্ধারণের কৌশল ব্যবহার করায় শব্দটি আলোচনায় ছিল।
এছাড়া ‘টাচ গ্রাস’ শব্দগুচ্ছটিও বিবেচনায় রেখেছিলেন সম্পাদকরা। এর অর্থ হলো অনলাইন জগৎ থেকে বেরিয়ে বাস্তব বিশ্বের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া।
মেরিয়াম-ওয়েবস্টার জানিয়েছে, আগে যারা বেশি সময় অনলাইনে থাকত, তাদের অপমান করতেই কথাটি বলা হতো। তবে এখন অনেকেই আসক্তি কমিয়ে স্ক্রিন টাইম বা মোবাইল-কম্পিউটারে সময় দেওয়া কমাতে চাইছেন। তাই এটি এখন অনেকটা ইতিবাচক লক্ষ্য বা আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে।
আরেকটি শব্দ ছিল ‘পারফর্মেটিভ’। অভিধান অনুযায়ী এর অর্থ হলো লোক দেখানো বা নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য কোনো কাজ করা। যদিও অনেক কিছুকেই এই শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা হয়, তবে ‘পারফর্মেটিভ মেইল’ বা ‘লোক দেখানো পুরুষ’ ধারণাটি বেশি প্রচলিত। মেরিয়াম-ওয়েবস্টার বলছে, নারীদের আকৃষ্ট করতে যারা নারীবাদী সাহিত্য ব্যাগে নিয়ে ঘোরার মতো কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রেই এটি বেশি খাটে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে অভিধানটি ‘পোলারাইজেশন’ বা মেরুকরণকে বর্ষসেরা শব্দ ঘোষণা করেছিল। আমেরিকার রাজনীতি ও সমাজের বিভক্ত অবস্থা বোঝাতে শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এর আগে ২০২৩ সালে ‘অথেনটিক’ বা খাঁটি শব্দটিকে বেছে নিয়েছিল মেরিয়াম-ওয়েবস্টার। তখন এআই, তারকা সংস্কৃতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে আলোচনার কারণে শব্দটির খোঁজ বা সার্চ অনেক বেড়ে গিয়েছিল।